রাজা, রানী বা রাজপরিবার সবসময়ই সাধারণ মানুষের কাছে আগ্রহের বিষয়৷ আর তা যদি হয় হাজার বছরের পুরনো তাহলে তো কথাই নেই৷ বলছি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের কথা৷ বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে যার আয় বছরে ৫০ কোটি পাউন্ড৷
টাওয়ার অব লন্ডন
ব্রিটিশ পর্যটন কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শুক্রবার জানা গেছে এই তথ্য৷ এই রাজতন্ত্রের এক হাজার বছরের পুরনো ইতিহাসের পাশাপাশি যোগ হয়েছে বর্তমান রাজপরিবার নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের উৎসাহ৷ যা বিশ্ববাসীকে টেনে নিয়ে আসে যুক্তরাজ্যের দর্শনীয় বিখ্যাত স্থানগুলোতে৷
গত বছর পর্যটকদের কাছে লন্ডন টাওয়ার ছিল রাজকীয় দর্শনীয় স্থানগুলোর শীর্ষ আকর্ষণ৷ গত বছর ২৪ লাখ পর্যটক ঘুরে দেখেছেন লন্ডন টাওয়ার৷ দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল গ্রিনিচের ন্যাশনাল মেরিটাইম মিউজিয়াম৷ যার মধ্যে রানীর বাড়ি ছাড়াও প্রথম জেমস, প্রথম চার্লস এবং রয়্যাল অবজারভেটরিও অন্তর্ভুক্ত৷ স্থানটি ঘুরে দেখেছেন ২৩ লাখ পর্যটক৷ আর এডিনবরা ক্যাসেল টেনেছে ১১ লাখ পর্যটক৷ সেই দিক দিয়ে রয়েছে ছয় নম্বর স্থানে৷ রানী প্রথম ও দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রধান বাসভবন উইন্ডসর ক্যাসেল সপ্তম স্থানে, পর্যটক টেনেছে ৯ লাখ ৮৭ হাজার৷
বাকিংহাম প্যালেস, প্যালেস অব হলিরুড হাউস এবং উইন্ডসর ক্যাসেল ঘুরে দেখেন প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ পর্যটক৷ থিয়েটার, পাবস, গ্যালারি ক্যাসেলসহ ব্রিটেনের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যে প্রায় ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়৷ এই সব তথ্যই দিয়েছে ব্রিটিশ পর্যটন কর্তৃপক্ষ৷