প্রতিশব্দ /সমার্থক শব্দ কাকে বলে: - GOPALCPAUL

Latest

You Can See Some Information From Here

শুভ নববর্ষ ১৪৩১, সাইটে ব্রাউজ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন

23 May 2021

প্রতিশব্দ /সমার্থক শব্দ কাকে বলে:

 প্রতিশব্দঃ


একটি শব্দের একই অর্থ বুঝাবার জন্য বাংলা ভাষায় একাধিক শব্দ রয়েছে, এদেরকে প্রতিশব্দ বলে। প্রতিশব্দকে সমার্থক শব্দও বলা হয়।
অর্থাৎ,একাধিক শব্দ একই অর্থ বহন করলে তাদের প্রতিশব্দ বলে।শব্দের একাধিক প্রতিশব্দ জানা থাকলে বাক্যে কখনো একই শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটে না।

উদাহরণ:

☆পৃথিবীর প্রতিশব্দ হচ্ছে
        
 ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, ধরিত্রী, জগৎ, ধরা, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল । 

☆পর্বতের প্রতিশব্দ হচ্ছে

গিরি, পাহাড়, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, অচল, শৃঙ্গধর, শৈল, মহীধর, মহীন্দ্র।

☆নদীর প্রতিশব্দ হচ্ছে

তটিনী, তরঙ্গিণী, প্রবাহিণী, শৈবলিনী, সরিৎ, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী, নির্ঝরিণী।

☆সাগররের  প্রতিশব্দ হচ্ছে

সমুদ্র, সিন্ধু, অর্ণব, জলনিধি, বারিধি, পারাবার, রত্নাকর,  দরিয়া, বারীন্দ্র, জলধি, পাথার, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি।

☆চন্দ্রের প্রতিশব্দ হচ্ছে

চাঁদ, চন্দ্রমা, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু, ইন্দু, নিশাকর, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক।

☆সূর্যের  প্রতিশব্দ হচ্ছে
   
রবি, সবিতা, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, দিবাকর, আদিত্য, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, কিরণমালী, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা।

☆সর্পর  প্রতিশব্দ হচ্ছে

সাপ, আশীবিষ, উরহ, অহি, নাগ, নাগিনী, ভুজঙ্গ, ভুজগ, ভুজঙ্গম, সরীসৃপ, ফণী, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক।

 ☆আকাশের প্রতিশব্দ হচ্ছে

গগন, অম্বর,অভ্র, আসমান ,নভঃ,নীলিমা, ইথার ইত্যাদি।

☆অশ্রুর প্রতিশব্দ হচ্ছে-

চোখের জল, নেত্রবারি, ধারাপাত, বর্ষণ।

অপচয়ের প্রতিশব্দ হচ্ছে-
অপব্যয়, বৃথাব্যয়, ক্ষতি, ক্ষয়, হ্রাস।

☆অগ্নির  প্রতিশব্দ হচ্ছে-

 আগুন, বহ্নি, পাবক, হুতাশন, অনল, দহন, শিখা, সর্বভুক, কৃশানু, বৈশ্বানর।

#প্রতিশব্দের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা:

মনের ভাব যথাযথভাবে প্রকাশ করতে হলে আমাদের অবশই সমার্থক শব্দ ব্যবহার করতে হবে। তাই সমার্থক বা প্রতিশব্দের ব্যবহারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে:


●শব্দের একাধিক প্রতিশব্দ জানা থাকলে বাক্যে কখনো একই শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটে না।

 ●প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ বাংলা শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে।

●গুরুচন্ডালি দোষমুক্তির প্রয়োজনে সমার্থক শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।

●গাম্ভীর্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান-যথাযথ প্রতিশব্দ বা সমার্থক ছাড়া সম্ভব নয়।

●মনের ভাব প্রকাশের কাজকে ‍সহজ করে দেয়।

●ভাষাশৈলীর অবয়ব গঠনকে বলিষ্ঠ করে।

●বাক্য বিন্যাসের ক্ষেত্রে মাধুর্য আনয়ন করে।

●সৃজনশীল সাহিত্য সৃষ্টি করে।

●প্রতিশব্দ ভাষার সৌন্দর্য ও নান্দনিকতার প্রাণ

●কবিতার উপমা, শব্দ চয়ন ও ভাষার আতিশয্যে গাম্ভীর্যের বিকাশ ঘটায়

●মননশীল সাহিত্য সৃষ্টি ও আধুনিক ধারা বিকাশে সহায়ক।