সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে নিষেধাজ্ঞা ( Injunction )
কি ও উহা কত প্রকার ?
নিষেধাজ্ঞা হলো বিচারিক সিদ্ধান্ত যার মাধ্যমে মোকরদমার কোন পক্ষ্মকে সুনির্দিষ্ট কাজ করতে বা করা হতে আদালত বিরত থাকতে আদেশ দেয় ।সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে ৫২ধারা অনুসারে নিষেধাজ্ঞা ২ (দুই) প্রকার ।
যথা - ১) স্থায়ী নিষেধাজ্ঞ ২) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
১) স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ; মামলার উভয় পক্ষকে শুনে এবং মামলার গুনাগুন বিচার শেষে মামলার কোন পক্ষকে কোন কাজ করা হতে স্থায়ীভাবে বিরত থাকতে যে আদেশ দেয়া হয় ,সেই আদেশকে স্থায়ী বা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলা হয় । এটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৪ থেকে ৫৬ ধারা অনুসারে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয় ।
২) অস্থায়ী নিসেধাজ্ঞা; অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মামলার কোন পক্ষকে অস্থায়ীভাবে কোন কাজ করা হতে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয় । এমন আদেশ পরিবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত বা মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বলবত থাকে । সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৩ ধারা এবং দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ নং আদেশ অনুসারে অস্থায়ী নিসেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয়।সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৫ ধারাতে বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়ছে।
নিষেধাজ্ঞা কাকে বলে (What is Injunction) ? নিষেধাজ্ঞা হল একটি বিচারবিভাগীয় কার্যক্রম যেখানে কোন পক্ষকে নির্দিষট কোন কাজ করা বা করা হতে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়। ইংল্যান্ডের ইকুইটি আদালতের একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি হল এই নিষেধাজ্ঞা। আদালত তার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা (Discretionary Power) প্রয়োগ করে এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন।নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা বা না করা আদালতের সুবিবেচনার উপর নির্ভরশিল। কেউ অধিকার হিসাবে নিষেধাজ্ঞা দাবী করতে পারেনা। নিষেধাজ্ঞার প্রকারভেদঃ ১) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) ২) চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Perpetual Injunction) ৩) অন্তর্বতিকালীন নিষেধাজ্ঞা (Ad-interim Injunction) ৪) নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা (Prohibitory Injunction) ৫) আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা (Mandatory Injunction) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) কাকে বলে ? ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতীকার (S.R Act) আইনের ৫৩ ধারা অনুসারে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) হল এমন এক ধরণের নিষেধাজ্ঞা যা একটি নির্দিষ্ট সময় বা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকে। মামলা চলা কালীন সময়ে মামলার যে কোন অবস্থায় এই নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায়। এই নিষেধাজ্ঞা জারীর বিধান দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের আদেশ ৩৯ (order 39) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা বা না করার নীতি মালাঃ ১) বাদীর আপাতঃ দৃষ্টিতে একটি মামলা (Prima facie case ) আছে কিনা,আদালত তা বিবেচনা করবেন। পক্ষগণের মধ্যে গুরুত্তপুর্ন বিচার্য বিষয় থাকতে হবে। ২) মামলায় বাদীর জয় লাভের সম্ভাবনা থাকলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করবেন। ৩) বাদীর অপূরণীয় ক্ষতি (Irreparable loss) হবার সম্ভাবনা আছে কি না আদালত তা বিবেচনা করবেন। ৪) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর ক্ষেত্রে আদালত বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের সুবিধা অসুবিধা (Balance of convenience and inconvenience of the parties ) বিবেচনা করবেন। ৫) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পেতে হলে বাদীকে পরিষ্কার হাতে আদালতে আসতে হবে। ৬) মামলার বহুতা রোধ কল্পে (multiplicity of suit) আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারেন। ৭) বাদীর আচরণ (the conduct of applicant) আদালত বিবেচনা করবেন।
নিষেধাজ্ঞা হলো বিচারিক সিদ্ধান্ত যার মাধ্যমে মোকরদমার কোন পক্ষ্মকে সুনির্দিষ্ট কাজ করতে বা করা হতে আদালত বিরত থাকতে আদেশ দেয় ।সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে ৫২ধারা অনুসারে নিষেধাজ্ঞা ২ (দুই) প্রকার ।
যথা - ১) স্থায়ী নিষেধাজ্ঞ ২) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
১) স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ; মামলার উভয় পক্ষকে শুনে এবং মামলার গুনাগুন বিচার শেষে মামলার কোন পক্ষকে কোন কাজ করা হতে স্থায়ীভাবে বিরত থাকতে যে আদেশ দেয়া হয় ,সেই আদেশকে স্থায়ী বা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলা হয় । এটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৪ থেকে ৫৬ ধারা অনুসারে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয় ।
২) অস্থায়ী নিসেধাজ্ঞা; অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মামলার কোন পক্ষকে অস্থায়ীভাবে কোন কাজ করা হতে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয় । এমন আদেশ পরিবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত বা মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বলবত থাকে । সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৩ ধারা এবং দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ নং আদেশ অনুসারে অস্থায়ী নিসেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয়।সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৫ ধারাতে বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়ছে।
নিষেধাজ্ঞা কাকে বলে (What is Injunction) ? নিষেধাজ্ঞা হল একটি বিচারবিভাগীয় কার্যক্রম যেখানে কোন পক্ষকে নির্দিষট কোন কাজ করা বা করা হতে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়। ইংল্যান্ডের ইকুইটি আদালতের একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি হল এই নিষেধাজ্ঞা। আদালত তার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা (Discretionary Power) প্রয়োগ করে এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন।নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা বা না করা আদালতের সুবিবেচনার উপর নির্ভরশিল। কেউ অধিকার হিসাবে নিষেধাজ্ঞা দাবী করতে পারেনা। নিষেধাজ্ঞার প্রকারভেদঃ ১) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) ২) চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Perpetual Injunction) ৩) অন্তর্বতিকালীন নিষেধাজ্ঞা (Ad-interim Injunction) ৪) নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা (Prohibitory Injunction) ৫) আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা (Mandatory Injunction) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) কাকে বলে ? ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতীকার (S.R Act) আইনের ৫৩ ধারা অনুসারে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Temporary Injunction) হল এমন এক ধরণের নিষেধাজ্ঞা যা একটি নির্দিষ্ট সময় বা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকে। মামলা চলা কালীন সময়ে মামলার যে কোন অবস্থায় এই নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায়। এই নিষেধাজ্ঞা জারীর বিধান দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের আদেশ ৩৯ (order 39) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা বা না করার নীতি মালাঃ ১) বাদীর আপাতঃ দৃষ্টিতে একটি মামলা (Prima facie case ) আছে কিনা,আদালত তা বিবেচনা করবেন। পক্ষগণের মধ্যে গুরুত্তপুর্ন বিচার্য বিষয় থাকতে হবে। ২) মামলায় বাদীর জয় লাভের সম্ভাবনা থাকলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করবেন। ৩) বাদীর অপূরণীয় ক্ষতি (Irreparable loss) হবার সম্ভাবনা আছে কি না আদালত তা বিবেচনা করবেন। ৪) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর ক্ষেত্রে আদালত বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের সুবিধা অসুবিধা (Balance of convenience and inconvenience of the parties ) বিবেচনা করবেন। ৫) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পেতে হলে বাদীকে পরিষ্কার হাতে আদালতে আসতে হবে। ৬) মামলার বহুতা রোধ কল্পে (multiplicity of suit) আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারেন। ৭) বাদীর আচরণ (the conduct of applicant) আদালত বিবেচনা করবেন।