হনুমানজীর আবির্ভাব - ‘হনুমান জয়ন্তী’ - GOPALCPAUL

Latest

You Can See Some Information From Here

শুভ নববর্ষ ১৪৩১, সাইটে ব্রাউজ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন

08 June 2021

হনুমানজীর আবির্ভাব - ‘হনুমান জয়ন্তী’

রাক্ষস বাহিনীর অত্যাচার থেকে ধরিত্রী কে মুক্ত করতেই আবির্ভাব হয়েছিল হনুমান জী’র। শুক্রবারই তাঁর আবির্ভাব তিথি অর্থাৎ ‘হনুমান জয়ন্তী’। বলা হয় রাবণ কৈলাশে পাহারারত নন্দী কে ব্যাঙ্গ করলে, নন্দী রাবণকে অভিশাপ দেন। বলেন, ‘নর আর বানরের হাতেই রাবণ আর তার কূল ধ্বংস হবে।’ রাক্ষস বাহিনীর অত্যাচার থেকে ধরিত্রী কে মুক্ত করতেই হনুমানের আবির্ভাব। এছাড়া, ভগবান রামের সেবা ও রাম নাম প্রচারের জন্যই রুদ্র অবতার হনুমানের আবির্ভাব হয়েছিল।

হনুমানের পিতার নাম ছিল কেশরী মায়ের নাম ছিল অঞ্জনা। হনুমানের পালক পিতা হলেন পবন দেবতা। ছোটোবেলা থেকেই হনুমানজী চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন, পুরান অনুসারে একসময় তিনি সূর্য দেবতাকে ফল হিসাবে গ্রাস করতে ছোটেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইন্দ্র দেবতা হনুমান কে বজ্র দিয়ে আঘাত করে সূর্য উদ্ধার করেন। বজ্রের আঘাতে হনুমান অচেতন হয়ে যান, তাঁর পালক পিতা পবন দেবতা ক্রুদ্ধ হয়ে সমস্ত রকম বায়ুপ্রবাহ বন্ধ করে দেন। ফলে, এক মহাবিনাশের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এরপর ব্রহ্মা ও অনান্য দেবগণ হনুমান জীকে সুস্থ করে তাঁকে আশীর্বাদ প্রদান করেন। তাই পুরান বলে, হনুমান জী চার যুগেই অমর।

হনুমান জী, শ্রীরামচন্দ্রের একনিষ্ঠ সেবক ছিলেন। মা সীতার অপহরণের পর হনুমান জীর উদ্যোগেই ভগবান রামচন্দ্রের সঙ্গে বানর রাজ বালীর ভাই সুগ্রীবের বন্ধুত্ব হয়। বালী আবার সুগ্রীবের বৌ রুমাকে অপহরণ করে বন্দী করে রেখেছিল- রামচন্দ্র বালীকে বধ করে সুগ্রীবকে বানর জাতির রাজা বানান। হনুমান জী প্রথম অপহৃতা মা সীতার খবর আনেন। ভগবান রামচন্দ্রের লঙ্কা আক্রমণ কালে হনুমান জী নিজে প্রচুর রাক্ষস সৈন্য, বড় বড় রাক্ষস বীরদের বধ করেন , এবং যুদ্ধে ব্রহ্মাস্ত্রে আহত লক্ষণ এর প্রান বাঁচাতে তিনি গন্ধমাদন পর্বত টাই তুলে আনেন।

এভাবে হনুমান জী ভগবান রামচন্দ্রের সেবা করেন। হনুমান জীর প্রবল ভক্তির একটি কথা পুরানে পাওয়া যায়।

ভগবান রামচন্দ্র তখন রাক্ষস বাহিনী আর লঙ্কেশ রাবণকে বধ করে ভাই লক্ষণ ও সীতাদেবীকে নিয়ে ১৪ বছর বনবাস শেষে অযোধ্যাতে ফিরেছেন। একদা মা সীতা দেবী হনুমান জীকে একটি মুক্তার মালা উপহার দিলেন । ভক্ত হনুমান জী মালাটি নিয়ে দেখে, নেড়ে চেড়ে ছিড়ে মুক্তো গুলো দাঁত দিয়ে চিবিয়ে ফেলে দিলেন । সকলে অবাক হল। ভাবল বনের পশু মুক্তার মালার মর্ম কি জানে ?

সকলে হনুমান জীকে কারন জিজ্ঞাসা করলে হনুমান জী বললেন- “যাহাতে রাম নাম নেই- তাহাতে কি প্রয়োজন?” সকলে বলল- “তাই যদি হয়- তবে তোমার অন্তরে কি রাম নাম আছে ? থাকলে দেখাও দিকি।” এই শুনে হনুমান জী নিজের নখ দিয়ে নিজের বুক বিদীর্ণ করলেন- সকলে দেখলো সেখানে ভগবান রামচন্দ্র মা সীতা বিরাজমান।

হনুমান জী দ্বাপর যুগেও ছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করেছেন। স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মডুরা লিলায় গরুড়ে দম্ভ ভঙ্গ লীলা ভগবান রামচন্দ্রের রূপ ধারন করেন মা রুক্মীনি মা সত্যভামার ব্যর্থতায়(শ্রী রাধা রাণীর গণ থাকায়) হনুমানজীকে একবার দর্শন দিয়েছিলেন। হনুমান জী পরম বৈষ্ণব, ভগবান হরির প্রিয় ভক্ত।